Thursday, February 28, 2008

[ Noakhali Online Group ] dream come true

Dear all
I am feeling happy to say all of you that in 25th feb.2008 I got a girl at a private hospital in narayangonj.
Please pray for my daughter and wife.
                                                          Tipu                                         


Looking for last minute shopping deals? Find them fast with Yahoo! Search. __._,_.___

<*> To visit our associated site, go to:
    http://www.DeshiHost.com/

<*> To visit our associated community portal go to:
    http://www.Noakhali.org/





Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

Tuesday, February 26, 2008

[ Noakhali Online Group ] Re: U should read this

lekha ta mone hoi sompourno noi
Zobayer bhai er maddhome ami Habib EMon er lekha tar puro ta attach
file hishebe pele khob i khushi hobo
puro lekha ta attachment kore dile oneke i onekkichu jante parbe bole
amar dharona.

Sumit Awal

--- In Noakhali@yahoogroups.com, ariful Zobayer <ariful_zobayer@...>
wrote:

হাবীব ইমন
'মà§&lsqauo;র নাম এই বলে খ্যাত হà§&lsqauo;ক আমি তà§&lsqauo;মাদেরই লà§&lsqauo;ক'
সম্মানিতজন,আগত অতিথিজন শুভেচ্ছা, প্রণাম আপনাদেরকে।
প্রাথমিক, মাধ্যমিক শিক্ষাজীবনে পাঠ্যপুস্তকে ইতিহাসের পাতায় একটু-আধটু পড়েছিলাম আপনাদের প্রিয় নদীয়ার কথা, মনে রেখেছি নদীয়ার
নাম। সেই নদীয়ায় আপনাদের মাঝে দাঁড়িয়েছি। ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামে গৌরবদীপত নাম, শ্রীকৃষ্ণ, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, প্রমথ চৌধরী,
কবি কৃত্তিবাসসহ অসংখ্য গুণীজন মানুষের জন্মস্থান নদীয়ায় আমি আসতে পেরে, উপস্থিত থাকতে পেরে অত্যন্ত মর্যাদার সাথে গৌরবান্বিত হচ্ছি।
ধন্য হয়েছি, আমার মতà§&lsqauo; একজন সামান্য কবির হাতে আপনারা যে সম্মানের দন্ড তুলে দিলেন তা মাথা পেতে নিলাম। আমি চেষ্টা করবà§&lsqauo; এ
সম্মান আজীবন অক্ষুন্ন রাখতে। রবীন্দ্রনাথের মতà§&lsqauo; আমি দৃপ্তকন্ঠে-দ্বিধাহীনভাবে উচ্চারণ করতে চাই, মà§&lsqauo;র নাম এই বলে খ্যাত হà§&lsqauo;ক আমি
তà§&lsqauo;মাদেরই লà§&lsqauo;ক।
ধন্যবাদ আপনাদেরকে। আমি জানি না এ আয়à§&lsqauo;জনের জন্য আমি কতটা যà§&lsqauo;গ্য হয়ে উঠেছি। নিজের সম্পর্কে আমার মূল্যায়ন কখনà§&lsqauo;ই আমার
কাছে সন্তà§&lsqauo;ষজনক না, ভালà§&lsqauo; না। যà§&lsqauo;গ্যতার বিচারে অ্যাতà§&lsqauo; গুণীজনদের সমাবেশে আমাকে আমি বেমানান ভাবছি। অবশ্যই তা। ভয়à¦" লাগছে
এখানে দাঁড়াতে। এ সংবর্ধনা আমাকে ভীষণরকম অনুপ্রাণিত করবে আগামি পথচলায়। আজকের এ দিনটি আমার অনেকদিন মনে থাকবে। আমার
চেষ্টা থাকবে আপনাদের সম্মানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে। আপনাদের কাছে আমার জন্যে আর্শিবাদ প্রত্যাশি।
যà§&lsqauo;গাযà§&lsqauo;গে দূরত্ব-বিচ্ছিন্নতা থাকলেà¦" কল্পনায়, মনà§&lsqauo;গত দিক থেকে বিভাজন সম্মতি আমাদের কখনà§&lsqauo;ই ছিল না। এ পশ্চিমবাংলার কৃতি সন্তান
কবি কার্তিক মà§&lsqauo;দক, প্রিয় অগ্রজ কার্তিকদার সাথে আমার আন্তরিক যà§&lsqauo;গাযà§&lsqauo;গ তৈরি হয়েছে বেশ ক'বছর ধরে। এ যà§&lsqauo;গাযà§&lsqauo;গ কেবল কà§&lsqauo;নà§&lsqauo;
ব্যক্তি সবিশেষে সীমাবদ্ধ নয়, একটি অঞ্চলà¦" ব্যক্তিমানসে পিছনে এসে যায়। সে অঞ্চলকে জানা- বà§&lsqauo;ঝার তাগিদ অনুভূত হয়। আশারাখি
আগামিতেà¦" আরà§&lsqauo; অনেকের সাথে যà§&lsqauo;গাযà§&lsqauo;গ তৈরি হবে। আমার এ সফর আপনাদের মতà§&lsqauo; গৌরবদীপ্ত সন্তানদের অচেনা জগতকে আরà§&lsqauo; বেশি
চেনার ক্ষেত্র তৈরি করবে। আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ককে অনেকদূর নিয়ে যাবে। এ আয়à§&lsqauo;জন নিশ্চই একটি মৈত্রী সম্পর্ক তৈরিতে সহায়ক করবে।
আমার বেড়ে à¦"ঠা যে শহর, বাংলাদেশের একটি দক্ষিণাঞ্চলের একটি আদি শহর। এ শহরকে আমি আমার প্রাণ-প্রাচুর্য্যের শহর বলি। সে শহরের
নাম নà§&lsqauo;য়াখালী। এর আদি নাম ভুলুয়া। ত্রিপুরা রাজ্যের একটি অধুনালুপ্ত পরগনা ভুলুয়া।
এ শহরের প্রমত্ত মেঘনা নদীর পাড়ে বসে একজন কবি তার জীবনকে দৃষ্টান্ত করেছেন বাংলাদেশ তথা, ভারতবর্ষের বাংলাসাহিত্যকে। তিনি
কবি, বুদ্ধদেব বসু। সমপ্রতি তাঁর জন্মশত বর্ষ পেরিয়ে গেলà§&lsqauo;। শ্রদ্ধা জানাই এ কবিকে। ভারতবর্ষের বাম আন্দà§&lsqauo;লনের প্রবক্তা কমরেড
মুজাফফর আহমেদের জন্মস্থান এ নà§&lsqauo;য়াখালী।
১৯৪৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে সামপ্রদায়িক দাঙ্গার রেশ পড়ে নà§&lsqauo;য়াখালী জেলায়। হিন্দু সমপ্রদায়ের à¦"পর অমানবিক নির্যাতন চলে। মহাত্মাগান্ধী এই
নà§&lsqauo;য়াখালীতে দীর্ঘদিন অবস্থান করেন। তাঁর ঐতিহাসিক অহিংসনীতি প্রচার করেন। শান্তি স্থাপনে সর্মথ হà§&lsqauo;ন। মহাত্মাগান্ধী এই স্মৃতিধন্য
নà§&lsqauo;য়াখালীতে আজ ভারত-বাংলাদেশ সরকারের যৌথ পরিচালনায় মহীরুহ হিসেবে গড়ে à¦"ঠেছে গান্ধী আশ্রম ট্রাষ্ট। তারই পরিচালনায় স্থাাপিত
হয়েছে গান্ধী স্মৃতি জাদুঘর। আপনাদেরকে স্বাগত জানাই আমার জন্মভূমি নà§&lsqauo;য়াখালীতে।


<*> To visit our associated site, go to:

http://www.DeshiHost.com/

<*> To visit our associated community portal go to:

http://www.Noakhali.org/


Yahoo! Groups Links

<*> To visit your group on the web, go to:

http://groups.yahoo.com/group/Noakhali/

<*> Your email settings:
Individual Email | Traditional

<*> To change settings online go to:

http://groups.yahoo.com/group/Noakhali/join

(Yahoo! ID required)

<*> To change settings via email:
mailto:Noakhali-digest@yahoogroups.com
mailto:Noakhali-fullfeatured@yahoogroups.com

<*> To unsubscribe from this group, send an email to:
Noakhali-unsubscribe@yahoogroups.com

<*> Your use of Yahoo! Groups is subject to:

http://docs.yahoo.com/info/terms/

[ Noakhali Online Group ] U should read this

হাবীব ইমন
'মোর নাম এই বলে খ্যাত হোক আমি তোমাদেরই লোক'
সম্মানিতজন,আগত অতিথিজন শুভেচ্ছা, প্রণাম আপনাদেরকে।
প্রাথমিক, মাধ্যমিক শিক্ষাজীবনে পাঠ্যপুস্তকে ইতিহাসের পাতায় একটু-আধটু পড়েছিলাম আপনাদের প্রিয় নদীয়ার কথা, মনে রেখেছি নদীয়ার নাম। সেই নদীয়ায় আপনাদের মাঝে দাঁড়িয়েছি। ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামে গৌরবদীপত নাম, শ্রীকৃষ্ণ, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, প্রমথ চৌধরী, কবি কৃত্তিবাসসহ অসংখ্য গুণীজন মানুষের জন্মস্থান নদীয়ায় আমি আসতে পেরে, উপস্থিত থাকতে পেরে অত্যন্ত মর্যাদার সাথে গৌরবান্বিত হচ্ছি। ধন্য হয়েছি, আমার মতো একজন সামান্য কবির হাতে আপনারা যে সম্মানের দন্ড তুলে দিলেন তা মাথা পেতে নিলাম। আমি চেষ্টা করবো এ সম্মান আজীবন অক্ষুন্ন রাখতে। রবীন্দ্রনাথের মতো আমি দৃপ্তকন্ঠে-দ্বিধাহীনভাবে উচ্চারণ করতে চাই, মোর নাম এই বলে খ্যাত হোক আমি তোমাদেরই লোক।
ধন্যবাদ আপনাদেরকে। আমি জানি না এ আয়োজনের জন্য আমি কতটা যোগ্য হয়ে উঠেছি। নিজের সম্পর্কে আমার মূল্যায়ন কখনোই আমার কাছে সন্তোষজনক না, ভালো না। যোগ্যতার বিচারে অ্যাতো গুণীজনদের সমাবেশে আমাকে আমি বেমানান ভাবছি। অবশ্যই তা। ভয়ও লাগছে এখানে দাঁড়াতে। এ সংবর্ধনা আমাকে ভীষণরকম অনুপ্রাণিত করবে আগামি পথচলায়। আজকের এ দিনটি আমার অনেকদিন মনে থাকবে। আমার চেষ্টা থাকবে আপনাদের সম্মানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে। আপনাদের কাছে আমার জন্যে আর্শিবাদ প্রত্যাশি।
যোগাযোগে দূরত্ব-বিচ্ছিন্নতা থাকলেও কল্পনায়, মনোগত দিক থেকে বিভাজন সম্মতি আমাদের কখনোই ছিল না। এ পশ্চিমবাংলার কৃতি সন্তান কবি কার্তিক মোদক, প্রিয় অগ্রজ কার্তিকদার সাথে আমার আন্তরিক যোগাযোগ তৈরি হয়েছে বেশ ক'বছর ধরে। এ যোগাযোগ কেবল কোনো ব্যক্তি সবিশেষে সীমাবদ্ধ নয়, একটি অঞ্চলও ব্যক্তিমানসে পিছনে এসে যায়। সে অঞ্চলকে জানা- বোঝার তাগিদ অনুভূত হয়আশারাখি আগামিতেও আরো অনেকের সাথে যোগাযোগ তৈরি হবে। আমার এ সফর আপনাদের মতো গৌরবদীপ্ত সন্তানদের অচেনা জগতকে আরো বেশি চেনার ক্ষেত্র তৈরি করবে। আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ককে অনেকদূর নিয়ে যাবে। এ আয়োজন নিশ্চই একটি মৈত্রী সম্পর্ক তৈরিতে সহায়ক করবে।
আমার বেড়ে ওঠা যে শহর, বাংলাদেশের একটি দক্ষিণাঞ্চলের একটি আদি শহর। এ শহরকে আমি আমার প্রাণ-প্রাচুর্য্যের শহর বলি। সে শহরের নাম নোয়াখালী। এর আদি নাম ভুলুয়া। ত্রিপুরা রাজ্যের একটি অধুনালুপ্ত পরগনা ভুলুয়া।
এ শহরের প্রমত্ত মেঘনা নদীর পাড়ে বসে একজন কবি তার জীবনকে দৃষ্টান্ত করেছেন বাংলাদেশ তথা, ভারতবর্ষের বাংলাসাহিত্যকে। তিনি কবি, বুদ্ধদেব বসু। সমপ্রতি তাঁর জন্মশত বর্ষ পেরিয়ে গেলো। শ্রদ্ধা জানাই এ কবিকে। ভারতবর্ষের বাম আন্দোলনের প্রবক্তা কমরেড মুজাফফর আহমেদের জন্মস্থান এ নোয়াখালী।
১৯৪৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে সামপ্রদায়িক দাঙ্গার রেশ পড়ে নোয়াখালী জেলায়। হিন্দু সমপ্রদায়ের ওপর অমানবিক নির্যাতন চলে। মহাত্মাগান্ধী এই নোয়াখালীতে দীর্ঘদিন অবস্থান করেন। তাঁর ঐতিহাসিক অহিংসনীতি প্রচার করেন। শান্তি স্থাপনে সর্মথ হোন। মহাত্মাগান্ধী এই স্মৃতিধন্য নোয়াখালীতে আজ ভারত-বাংলাদেশ সরকারের যৌথ পরিচালনায় মহীরুহ হিসেবে গড়ে ওঠেছে গান্ধী আশ্রম ট্রাষ্ট। তারই পরিচালনায় স্থাাপিত হয়েছে গান্ধী স্মৃতি জাদুঘর। আপনাদেরকে স্বাগত জানাই আমার জন্মভূমি নোয়াখালীতে।
১৮৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি কটক শহরে জন্ম নেয়া ভারতবর্ষ ইতিহাসে মহানায়ক, সমাজতন্ত্র আন্দোলনের বিপ্লবী নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর প্রতি আমি আমার বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে স্বশ্রদ্ধ প্রণতি জানাই। বাঙলা ভাষা, বাঙালি জাতির প্রতি দারুণ ভালোবাসা, প্রেম আজো অক্ষুন্ন আছে আমাদের অনুভূতিতে। অধ্যাপক ওটেন বাঙালি জাতির বিরুদ্ধে কটুৃক্তি করলে নেতাজি স্বয়ং, তার নেতৃত্বে তার কয়েকজন বন্ধু-বান্ধব মিলে অধ্যাপক ওটেনকে আক্রমণ করেন। এ ঘটনা আমাদের মধ্যে একটি দৃষ্টান্ত ও বিরল দেশপ্রেমের চেতনার জন্ম দিয়েছে নিশ্চই। স্মরণ করে দেয় বাঙলার প্রতি তাঁর অকাট্য মমতার কথা। একজন দূরদর্শী মেধাবী এ যুবক আই সি এস পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান লাভ করবার পরও তিনি নিজেকে ব্রত করেন পরাধীন ভারতবর্ষকে স্বাধীন করার আন্দোলনে। ১৯২১ সালের আন্দোলনে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়, কারাদন্ড ভোগ করেন। এরপর তিনি দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের স্বরাজ্য পার্টির দায়িত্ব নেন তিনি। সেই সময়ে উত্তরবঙ্গে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ান, বাংলার কথা ও ফরোয়ার্ড নামে পত্রিকাদ্বয়ের পরিচালনা করেন। এখানে আমরা নেতাজীকে ভিন্ন আঙ্গিকে মূল্যায়ন করতে পারি। অল্প সময়ে ভারতের জনপ্রিয় নেতা হিসেবে আর্বিভূত হন নেতাজি। ১৯২৮ সালে কংগ্রেসের কলকাতা অধিবেশনে তিনি-ই পূর্ণ স্বাধীনতা কংগেসের আর্দশ এই প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
বিগত শতাব্দীর চলি্লশ দশকে হিটলারের সহায়তায় তিনি জার্মানী সেনাবাহিনীতে আশ্রিত ভারতীয় সৈন্যদের নিয়ে একটি স্বাধীন ভারতের সেনাবাহিনী গঠন করেন। জাপানে বন্দী ভারতীয় সৈনিকদের সহ তিনি আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করেন। নেতাজীর ব্যক্তিত্বের প্রভাবে ভারতের হিন্দু-মুসলমান সবাই এসে জড়ো হন আজাদ হিন্দু ফৌজে। এ সংগঠনটি ভারত বর্ষ স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করেন। ১৯৪৫ সালে ১৮ আগষ্টে এক বিমান দূঘর্টনায় নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু নিহত হয়েছে বলে প্রচার হয়েছে তখন। এখন পর্যন্ত এ স্বপক্ষে কোনো সত্য পাওয়া যায়নি। আমরা মনে করি না নেতাজী দেহত্যাগ করে গ্যাছে নেতাজী আছেন। নেতাজী থাকবেন।
নেতাজীর এই স্বাধীনচেতা মনোভাব আদর্শ আমাদের বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধকে উজ্জীবীত করেছে। প্রাসঙ্গিকভাবে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে মহামতি ইন্ধিরা গান্ধীর প্রণোদনায় সাহসী পদক্ষেপে জেনারেল অরোরার নেতৃত্বে ভারতবর্ষের জনগণের তীব্র সমর্থন, সহযোগিতাকে। বরাবর বাংলাদেশের জন্য ভারতবর্ষের অকুন্ঠ সহযোগিতা পাশে পেয়ে এসেছি। আমরা বাংলাদেশের মানুষ সেসব অবদান সম্মানের সাথে সবসময়ে স্মরণ করে আসছি। গ্যালো বছরে আমরা প্রাকৃতিক দূর্যোগে আক্রান্ত হয়েছি। সর্বশেষ সিডর আক্রান্ত বাংলাদেশ তাঁর অর্ধেক রূপ বিপর্যয়ভাবে হারিয়েছে। এ সংকট কাটিয়ে উঠতে পারি নি আমরা। আশার কথা, অভাবনীয়ভাবে জেগে উঠছে বাংলাদেশের মানুষ, তার সম্ভাবনাময় রূপ। এ সংকটময় মুহূর্তে আমরা ভারতকে পাশে পেয়েছি। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাদের প্রতি।
ছাত্র-যুব সমপ্রীতি উৎসব, ২৩ বছর ধরে এ অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এ ধরণের একটি উৎসব সময়ের সাথে সঙ্গত। একটি প্রশংসনীয় প্রয়াস, উদ্যোগ। নান্দনিক সৃষ্টিশীল নানা আয়োজনে ভরপুর এ উৎসব। ভালো লাগছে দেখে। উপভোগ্য আরো হবে নিশ্চই।
ইতিহাসের দিকে তাকাই একটু আমরা, অকাট্য সত্য যে, আমাদের বঙ্গভঙ্গ রদ আন্দোলনন, স্বদেশী আন্দোলন, স্বাধীকার আন্দোলন, মুক্তির আন্দোলনে ছাত্র-যুবকদের সমপ্রীতি প্রতিষ্ঠিত হয়ে আছে। সেগুলো আর বিশ্লেষণ করছি না। সেই ইতিহাসের অনিবার্য সত্য আমাদের মেনে নিতে হবে। এ সত্য আমাদের আগামি কাজে প্রাণিত করবে।
আমরা ইতিহাস ভুলে যেতে বসেছি। তাইতো আমাদের আজ নৈতিক স্থলন ঘটছে। আমার চেতনা শূণ্য হয়ে উঠছে।
আমরা অস্থির হয়ে উঠছি। পথহারা পথিকের মতো হয়ে দিশেহারা উঠছি।
ছাত্র-যুবক সময়ের বিবর্তনে একটি বিধ্বংসী নাম। এ সত্যটিও আমরা ভুলে যাই। কেনো তা জানি না।
আমি যুবক। একজন ছাত্রও বটে। প্রতিনিয়ত জীবন, জগত ও বাস্তবতার কাছে শিখে নিচ্ছি। আমি তখন ছাত্র উচ্চমাধ্যমিকে। একটি লিটলম্যাগ প্রকাশ করতে চাইছিলাম। লেখা পেলাম যথেষ্ট। কম্পিউটার কম্পোজও করা হয়েছে। সব প্রস্তুতি শেষ। প্রেসে পাঠাবো তার কানো অর্থ নেই হাতেলক্ষ্যমত কোনো ইশতেহার নিলাম না। মধ্যবিত্ত পরিবারে টানাপোড়নে নিজের হাত খরচ জমিয়ে বেশিদূর এগুতে পারছিলাম না। এসময় অনেকদিন আমার কাছে পড়ে ছিলো বাসার বিদু্যত বিল, অন্যান্য বিল। সেইসব বিলের টাকা ভেঙ্গে আমি এখানে ব্যয় করলাম। যেদিন আমি প্রেসে যাবো, সন্ধ্যে ঘনিয়ে আসছে। অন্ধকার চারিদিক। প্রচন্ড ঝড় হাওয়া-বৃষ্টি বইছে। চোখ বন্ধ হয়ে আসছে ধুলোয়। জীবনবাজির মতো অবস্থা। প্রতিকূল আবহাওয়া পরিস্থিতির সাথে লড়লাম আমি। হেরে যাইনি আমি। সেই যে আমি লিটলম্যাগ চর্চা একটি অধু্যষিত অঞ্চলে শুরু করলাম নব জোয়ারে। আজ সেই অঞ্চলের তরুণদের মধ্যে বেশ কয়েকটি লিটলম্যাগ বের করার প্রবণতা তৈরি হয়েছে। বের হচ্ছেও। উর্বর হয়ে উঠছে সেই অঞ্চলের সাহিত্যচর্চা।
সমাজ সংস্কার, প্রগতি-বির্নিমানে পথে ছাত্র-যুবদের বিকল্প নেই। ইতিহাস তাই বলে।
তারুণ্য শক্তি নিয়ে যারা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেন, হেয় করে দেখতে তৎপরতা দেখান, প্রতিপন্ন করার পরিহাসপ্রিয়তায় মেতে ওঠেন তারা বিগত এক শতাব্দিতে বাংলার আন্দোলনের দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন আপাতনিরীহ মনে হলেও তারুণ্য শক্তি কিন্তু নেহাত নগন্য নয়। এ অনিবার্য সত্য আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, নিজেকে আকাশের জন্য আলোকের জন্য প্রস্তুত কর।
১৯৫০ সালে বাংলা একবার বিভক্ত হয়েছিলপ্রদেশ হিসেবে বাংলা তখন অনেক বড়, বিহার, উড়িষ্যা ও ছোট নাগপুর তার সঙ্গে যুক্ত হয়। সেই প্রদেশকে ভেঙ্গে দু'টুকরো করা হলো। বাংলাদেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগকে আসামের সাথে যুক্ত করে গঠিত হলো পুর্ববঙ্গ ও আসাম। প্রবল আন্দোলনের মুখে ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ হলো। তবে বাংলা প্রদেশকে আর আগের রূপে পাওয়া যায়নি। ১৯৪৭ সালে বাংলা আবার ভাগ হয়েছে। দু'টুকরো বাংলা সেবার রূপ নিয়েছিল পরস্পরের প্রতি ভীষণ রকমের বৈরিভাবাপন্ন দুটি রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণাধীনে। ৫ সালের দুই প্রদেশের মধ্যে যোগাযোগের কোনো বিচ্ছিন্নতা ঘটেনি। পাসপোর্ট, ভিসার কোনো প্রশ্নই ওঠেনি। কিন্তু ৪৭ সালের এপার বাংলা ওপার বাংলার একেবারেই বিচ্ছিন্ন। নাগরিকত্বতো অবশ্যই, জাতীয়তাও আলাদা, এপার বাংলার মানুষেরা হয়ে গ্যাছে পাকিস্তানী, ওপার বাংলার বাসীরা ভারতীয়, মাঝখানে বহমান হলো দ্বি-জাতি তত্ত্বের অদুরদশর্ী গভীর ও প্রবল নদী। হিন্দু-মুসলমান ভাই ভাই। এ ভ্রাতৃত্ববোধের অবিসংবাদিত সমপ্রীতি-সৌহাদ্য সম্পর্ককে ভেঙ্গে দেয়ার প্রয়াস তৈরি করার একটি চক্রান্ত ছিলো এ দ্বি-জাতি তত্ত্বে। অসামপ্রদায়িক মূল্যচেতনায় চিড় ধরার এ প্রয়াস ছিল ইতিহাসে একটি বোকা ভুল।
লর্ড কার্জন একটি লেখায় লিখেছেন বাঙালিরা, নিজেদেরকে যারা একটি জাতি বলে ভাবতে পছন্দ করে। কার্জনের এই লেখাটির সত্যতা চূড়ান্ত রূপ লাভ করে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে। ৪৭ এর দেশ ভাগে বাংলা বিভাজন হলেও দু'বাংলার প্রতি আমাদের গভীর ভালোবাসা, অনুভূতি বিচ্ছিন্ন হয়নি। আমাদের মধ্যে সে আয়োজন এখনো নিসন্দেহে অটুট। বিরল।
বাঙলা ও বাঙালি জাতীয়তাবোধের অঙ্গীকার ছিল অসামপ্রদায়িক সুস্থ জীবন, সংস্কৃতি ও শিল্পের প্রাণময় বিকাশ। আমাদের আকাঙ্খা ছিল বাংলার নদী, বাংলার জল, বাংলার ফুল, বাংলার ফল, বাংলার শস্যক্ষেত্র হবে জীবনের জয়গান। মুক্ত অর্থনীতি আর আকাশ-সংস্কৃতির যুগে পাশ্চাত্য অনুকরণে বিবেকহীন ঘোর অন্ধকারে এ অঙ্গীকার ও আকাঙ্খা সাম্রাজ্যবাদের আগ্রাসনে আজ সংজ্ঞাহীন। আমাদের বসবাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সংরক্ষণ এবং বিকাশের প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ হচ্ছে কায়েমী স্বার্থান্বেষীদের হীন চক্রান্ত। তবু, নানা প্রতিকূলতা উজিয়ে আবার যখন বাঙালি জাতি তার আদি স্বত্তার চিরন্তন প্রেরণায় এগিয়ে যেতে প্রয়াসী, সময়ের প্রবাহমানতায় আমাদের প্রয়োজন ইতিহাস-চেতনা, সৃজনশীল সংস্কৃতির লালন ও বিকাশকে ত্বরান্বিত করা-যা আমাদের বিধ্বস্ত মানস চরিত্র ন্যায়বোধ সত্য ও সুন্দরের পুনর্জাগরণ সৃষ্টিতে সহায়ক হত পারে। আর এ কাজে উদ্যোগী হতে হবে শিল্পীমাত্রেরই-হোক সে নাট্যকার, লেখক, চিত্রকর, সাংবাদিক, বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ, সংস্কৃতিকর্মী এবং সর্বোপরি সকলের। ধন্যবাদ সকলকে।
বন্দে মাতরম। জয় বাংলা।

[
২০ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গে অনুষ্ঠিত ছাত্র-যুব সমপ্রীতি উৎসব ২০০৮ এর গুণীজন সংবর্ধনায় হাবীব ইমনের বক্তব্য প্রবন্ধকারে প্রকাশ করা হলো।]
 
 
 


Be a better friend, newshound, and know-it-all with Yahoo! Mobile. Try it now. __._,_.___

<*> To visit our associated site, go to:
    http://www.DeshiHost.com/

<*> To visit our associated community portal go to:
    http://www.Noakhali.org/





Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___